একটি স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ধারার জন্য নিরাপদ খাদ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ঘরের বাজার অনুধাবন করে। তারা একটি বিশেষ অনলাইন স্টোর তৈরি করেছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ শুকনা ফল, বাদাম, বীজ, গাওয়া ঘি, খাঁটি শর্ষের তেল ও খাঁটি মধু পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পণ্যের মানের বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, প্রতিটি পণ্য বেছে নেওয়া হয় খুব সাবধানে। ‘ঘরের বাজার’ টিমের লক্ষ্য শুধু একটি অনলাইন স্টোর হওয়া নয়, বরং বাংলাদেশে ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ এবং নিরাপদ খাদ্যপণ্যে নেতৃত্ব দেওয়া। ঘরের বাজারের লক্ষ্য উচ্চ মানের ও টেকসই পণ্য সরবরাহ এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির মাধ্যমে সুনাম অর্জন করা। তারা সর্বদা সেরা পণ্য ও দুর্দান্ত পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করতে চায়।
ঘরের বাজার বিশ্বাস করে কোয়ালিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা যা কিছু অফার করে, তা সর্বোত্তম মানের এবং তারা টেকসইয়ের বিষয়েও যত্নশীল। তাদের ‘সব পণ্য মানুষ এবং পরিবেশের জন্য ভালো’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা সর্বদা নৈতিক ও পরিবেশবান্ধব নিয়ম মেনে চলে।
স্বাস্থ্য, স্থায়ীত্ব ও গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতি গভীর উত্সর্গের সঙ্গে ঘরের বাজারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এর প্রতিষ্ঠাতা মো. নাজমুস সাকিব ও জামসেদ মজুমদার। বাণিজ্য তাঁদের লক্ষ্য নয়। তাঁদের লক্ষ্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা, স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং দেশের ভবিষ্যৎ টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা।
ঘরের বাজারের বিক্রয়ের চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক বিক্রির প্রায় ২০ শতাংশ হয় প্রবাসীদের পরিবারে। অর্থাৎ প্রবাসীরা বিদেশ থেকে পেমেন্ট করেই নির্বিঘ্নে তাঁদের বাসায় পণ্য পাচ্ছেন। ঘরের বাজারের এ ক্ষেত্রে বিশেষত্ব হচ্ছে—প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান, যারা প্রবাসীদের নিরবচ্ছিন্ন পণ্যসেবা দিয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বলছেন, ‘রেমিট্যান্স–যোদ্ধারা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তাঁদের পরিবারে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
জামসেদ মজুমদার গ্রাহকদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা চাই গ্রাহকেরা আমাদের বিশ্বাস করুক এবং ঘরের বাজার কমিউনিটির পার্ট হিসেবে অনুভব করুক। ঘরের বাজারে ক্রেতারা শুধু ক্রেতা নন; তাঁরা আমাদের ঘরের বাজার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’
মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ‘ঘরের বাজার বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনুরণিত হওয়ার বিষয়টি আশ্চর্যজনক, বিশেষ করে জামসেদ মজুমদারের মধু বাদামের আলোচিত ভিডিওর মাধ্যমে। এই স্বীকৃতি ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক পণ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা বলে।’
ঘরের বাজার এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করে, যেখানে ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাবার পাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয় হবে। তারা সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য সহজলভ্য হিসেবে দেখতে চায়, যা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে না, বরং পরিবেশের জন্যও উপকারী হবে।