উৎসবে আয়োজকেরা পুরান ঢাকার খাবারসহ বিভিন্ন ঐতিহ্য ও রীতি–রেওয়াজ নিয়ে কথা বলেন। যেমন একসময় পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্য ছিল, যেকোনো সামাজিক আয়োজনে রেকাবিতে খাবার সাজিয়ে পাঠানো হতো।
এই আয়োজনে স্থানীয় রন্ধনশিল্পীরা মুগ পাকন, নকশা পুলি, ভাপা, ঝাল ছাতু, দুধ চিতই, ভিজা পিঠা, ডিম পিঠা, সেমাই পিঠা, পাটিসাপটা, মালপোয়া, ঝাল পিঠা, মোয়া, বাকরখানি, ফুচকা, নাড়ু, পাতা পিঠাসহ প্রায় ৪০ রকমের খাবার দেখা যায়। এ ছাড়া ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কাওয়ালি।
আয়োজনে অংশগ্রহণকারী সব রন্ধনশিল্পীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রন্ধনবিষয়ক রিয়েলিটি শোতে পুরস্কারজয়ী রন্ধনশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। হামো ঢাকাইয়া সোব্বাসী সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সামির উদ্দিন বলেন, ‘এই পিঠাপুলি আমাদের ৪২৩ বছরের ঐতিহ্য। অতীতে বাড়িতে এই দিনে পিঠা বানানো হতো, আত্মীয়স্বজনেরা আসতেন পিঠা খেতে।
এই রেওয়াজ ধরে রাখতে গতকাল বাড়িতে পিঠা বানানো হয়েছে এবং আজ তা মেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও আমরা কথা বলি উর্দু বাংলা মিলিয়ে, এটা আমাদের স্থানীয় ভাষা। যেমন শহরের মানুষ যাকে শাল বলে, আমরা তাকে আলোয়ান বলি। পুরান ঢাকা থেকে ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই যেমন হারিয়ে গেছে, আবার অনেক রীতি-রেওয়াজ সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। এই পিঠা উৎসবও এর মধ্যে একটি।’