কেনাকাটায় অনলাইন এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। তারপরও দেখে আর নিজ হাতে যাচাই বাছাই করে কেনার মতো পরিতৃপ্তি কিছুতেই নেই। আর একই ছাদের নিচে যদি পাওয়া যায় বৈচিত্র্যময় পোশাক ও গয়না তাহলে তো কোন কথাই নেই। দোতলা ঠিক এমনই একটি জায়গা, যেখানে একসঙ্গে আছে ৯টি ফ্যাশন উদ্যোগ।
কোনো বাড়তি কোলাহল নেই, গাড়ির শব্দ নেই, হুড়াহুড়ি নেই- এমন শপিংয়ের জায়গা কার না ভালো লাগে! আমাদের দেশেই তৈরি সব পণ্য দেখে কেনাকাটার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো এই দোতলা বাড়ির ছায়াঘেরা বারান্দায় বসে খানিক বিশ্রাম ও গল্প করাও যায় এখানে।
আজকের দিনটি দোতলার জন্য বিশেষ। একবছরের পথ চলা পূর্ণ করেছে দোতলা। আর এজন্য আয়োজন করা হয়েছে বেশ। এই যৌথ উদ্যোগে এখন আছে পোশাক বাই তাননাস, সিতকা, শাড়ীকথন, আজুরা বাই শান্তা কবির, লেইসফিতা, রঙ্গন, চিত্রাঙ্গদা, রঙ্গিন সুতো ও রায়নাস কালেকশন।
এখানে হাতে কাজ করা পোশাক নিয়ে আছে সিতকা, হ্যান্ডপেইন্ট ও ব্লক নিয়ে পোশাক বাই তান্নাস, পাট ও জিনসের পাড়ের ডাই করা সিগনেচার শাড়ি নিয়ে শাড়িকথন, ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে আজুরা বাই শান্তা কবির। এছাড়া রঙ্গনের মণিপুরি শাড়ি, রঙিন সুতোর বাটিক ও ব্লকের কালেকশন আছে দোতলায়। এদিকে গয়নার সম্ভার নিয়ে আছেন লেইসফিতা ও চিত্রাঙ্গদা। আর নানা ধরনের উপহার সামগ্রী মিলবে রায়নাস কালেকশনে। দোতলা যাত্রা শুরু করেছে মাত্র একবছর আগে। যেকোনো অনুষ্ঠান বা পার্বণ উপলক্ষে পোশাক, অলংকার ও উপহার সামগ্রী এক ছাদের নিচে পাওয়া যায় বলে দোতলা ক্রমে ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর দোতলায় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ের বলে সন্তুষ্ট ক্রেতারাও। সেই সঙ্গে বলতে হয় পুরোনো স্থাপত্যের এই বাড়ির দোতলার মনোরম পরিবেশের কথা।
নিয়মিত বিকিকিনি ছাড়াও দোতলায় প্রায়ই বসে মেলা। বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে আনন্দঘন আয়োজন করে থাকেন দোতলাবাসী। মেলায় মুখরোচক খাবার ও দেশিয় পিঠাপুলির সঙ্গে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা উপভোগ করতে পারেন গান, মেহেদী বা আলতাবিলাসসহ খুবই প্রাণবন্ত আড্ডা।
সব মিলিয়ে চমৎকার এক আয়োজন এটি। আর আজ জন্মদিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজে উঠছে দোতলা। বিকেলে জমায়েত হবেন এই যৌথ উদ্যোগের ক্রেতা, শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু ও সংশ্লিষ্ট সকলে।
দোতলার ঠিকানা: বাড়ি ৬৭০, রোড ৩২, ধানমন্ডি, ঢাকা (তরুছায়া বিল্ডিং সংলগ্ন গলির শেষ মাথায়)।
ছবি: দোতলা