প্রতিবছর ২৭ জুন পালিত হয় বিশ্ব আনারস দিবস। শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর আনারস নিয়ে আছে অনেক মজার তথ্য।
ইউরোপীয়রা প্রথমবার আনারস দেখে এর চেহারাকে পাইনকোনের সঙ্গে তুলনা করার কারণে এর নামকরণ করেছিল ‘Pineapple’, যার অর্থ ‘পাইনগাছের আপেল’।
আনারস অনেকগুলো ছোট ফলের সংমিশ্রণ। প্রতিটি ‘চোখ’ একেকটি পৃথক ফুল থেকে এসে সব মিলে তৈরি হয় গোটা আনারস।
আনারসে থাকে ব্রোমেলিন নামক একধরনের এনজাইম, যা রান্নায় মাংস নরম করতে ব্যবহার করা হয়।
১৭ শতকে ইউরোপে আনারস এতটাই দুষ্প্রাপ্য ছিল যে সম্ভ্রান্তরা অতিথিদের সামনে শুধু ‘দেখানোর জন্য’ আনারস রাখতেন, খাওয়ার জন্য নয়।
অনেকেই মনে করে আনারস হাওয়াইয়ের দেশি ফল; যদিও এর জন্মস্থান দক্ষিণ আমেরিকায়, বিশেষত ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনায়।
ফিলিপাইনের নারীদের হাতে বোনা ‘পিনা’ নামে একধরনের কাপড় আছে, যা তৈরি হয় আনারসগাছের পাতার সূক্ষ্ম তন্তু থেকে।
স্কটল্যান্ডের ডানমোর পাইনঅ্যাপল নামে ১৭৬১ সালে একটি পাথরের আনরসের ভাস্কর্য নির্মিত হয়।
১৮ শতকে ইউরোপে ‘আনারস উন্মাদনা’ ছড়িয়ে পড়ে। ধনী পরিবারগুলো গ্রিনহাউসে আনারস ফলাতে শুরু করে এবং ফলটি তখনকার ফ্যাশন, শিল্প ও স্থাপত্যে জায়গা করে নেয়।
আঠারো শতকের ইংল্যান্ডের উচ্চবিত্তরা আনারস আকৃতির অলঙ্কারে সজ্জিত চা–পাত্র ব্যবহার করতে শুরু করে।
ফ্রান্সের রাজা পঞ্চদশ লুইয়ের ছেলের বিয়েতে অতিথিরা আনারস আকৃতির পোশাক পরেছিলেন।
বিশ্ববিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড় রাফায়েল নাদালকে ২০১০ সালে উইম্বলডনের পুরুষ একক ফাইনাল জয়ের পর আনারস-শোভিত ট্রফি হাতে দেখা যায়।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের জনপ্রিয় ককটেল পিনা কোলাডা। এই গ্রীষ্মকালীন পানীয় তৈরি হয় আনারস, নারকেল ও রামের মিশেলে।
ক্যারিবীয় লোককাহিনি মতে আনারস ভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তাদের বিশ্বাস সদর দরজার সামনে আনারস ঝুলিয়ে রাখলে তা সৌভাগ্য বয়ে আনে এবং দুষ্ট আত্মা থেকে রক্ষা করে।
তবে বিশ্বের অনেক ভাষায় একে ডাকা হয় ‘আনানাস’ নামে। এর অর্থ ‘চমৎকার ফল’।