পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল লিচু। তবে বেশি খেয়ে ফেললে অনেক সময় পড়তে হয় বেকায়দায়।
লিচু খাওয়ার আগে এর উপকারিতার পাশাপাশি বেশি খাওয়ার অপকারিতাও জানা ভালো।
লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
লিচুতে আছে ভিটামিন সি, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী। পাকা লিচু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
লিচুতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের রক্ত নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে লিচুতে, যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরি হতে বাধা দেয়।
যে কারণে শিশুরা খালি পেটে অনেকগুলো লিচু খেয়ে ফেললে শরীরের শর্করা কমে শিশুর বমি ও খিঁচুনি হয়। অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ ছাড়া যাঁরা ডায়াবেটিসের রোগী। বিশেষ করে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শরীরের শর্করা (গ্লুকোজ) নিয়ন্ত্রণে রাখেন, তাঁরা যদি মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেয়ে ফেলেন, তাহলে তাঁদের শরীরে শর্করা (গ্লুকোজ) কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই খেতে সুস্বাদু হলেও ইচ্ছেমতো লিচু খাওয়ার সুযোগ নেই। দিনে ১০-১২ টি লিচু খাওয়া যেতে পারে।
আবার অনেকেই কাঁচা বা আধা-পাকা লিচু খেয়ে থাকেন। এই ধরনের লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন-এ নামক টক্সিন বেশি থাকে, যা লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।