নতুন প্রজন্মের কাছে ডেউয়া প্রায় অপরিচিত একটি ফল।
পুষ্টি ও খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ এই ফল এখনো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় না বলে সুলভও নয়।
সুস্বাদু ফলটি শরীর সুস্থ রাখে এবং অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।
ডেউয়া কাঁঠালের মতোই গুচ্ছফল। এ ফলের বাইরের অংশটি থাকে অসমান, এবড়োখেবড়ো। কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়।
কাঁচা টক টক স্বাদ, কিন্তু পাকলে সেটা তখন অন্য স্বাদ। সেটা টকও নয়, আবার মিষ্টিও নয়।
ডেউয়ার আদি জন্মস্থান বঙ্গবর্ম এলাকা। বর্মায় এ ফলের নাম মাইয়াক লুয়াং। অঞ্চলভেদে এই ফল মানুষের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত।
ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামের আধার বলা হয় ডেউয়াকে।
ডেউয়ায় খাদ্যযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে রয়েছে খনিজ ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ ০.৭ গ্রাম, শর্করা ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৩৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম।
মেদ ও ভুঁড়ি কমাতে চাইলে ডেউয়ার রস এক থেকে দেড় চামচ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে রোজ একবার করে এক মাস খেলে উপকার পাবেন।
পেটে বায়ু জমলে পাকা ডেউয়ার রস দেড় চামচ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে অল্প চিনি দিয়ে প্রতিদিন একবার এক সপ্তাহ খেলে উপকার হবে।
যাঁদের অসুস্থতার কারণে মুখে রুচি নেই, তাঁরা দু-তিন চামচ ডেউয়ার রস ও সঙ্গে একটু লবণ–গোলমরিচগুঁড়া মিশিয়ে দুপুরবেলা ভাত খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
ডেউয়ার ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে মসৃণ ভাব ফিরে আসে। অর্থাৎ শরীরের শুষ্ক ভাব দূর হয়।