ভেজা চুল অনেক বেশি নরম ও দুর্বল থাকে। এ অবস্থায় চিরুনি করলে চুল দ্রুত ছিঁড়ে যায় ও গোঁড়া থেকে উঠে আসে।
প্রতিনিয়ত স্ট্রেইনার, কার্লার বা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও ভঙ্গুর।
প্রতিদিন চুল টাইট করে বাঁধলে হেয়ার ফলিকলগুলো চাপের মধ্যে পড়ে, যা ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া (চুল পড়ার একধরনের সমস্যা) তৈরি করতে পারে।
চুলে ধুলা, ঘাম ও তেলের স্তর জমে স্ক্যাল্পের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চুল পড়া শুরু হয় ও চুল বাড়াও কমে যায়।
শরীরে পানি ঘাটতি হলে চুলও প্রভাবিত হয়। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে চুলের মসৃণতা ও স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সবার চুলের ধরন আলাদা, তাই শ্যাম্পুও হওয়া উচিত চুলের উপযোগী। ভুল পণ্য ব্যবহারে চুল হয়ে যেতে পারে শুষ্ক বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত।
জেল, সিরাম, হেয়ার স্প্রে-অতিরিক্ত ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পে কেমিক্যাল জমে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাঁধা পড়ে।
ঘুম ঠিক না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর প্রভাব পড়ে চুলের স্বাস্থ্যেও।
চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিংক ইত্যাদির অভাবে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে।
চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ স্ট্রেস। দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকলে টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম নামের একধরনের চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।